লালমনিরহাটপ্রতিনিধিঃ-
লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা হাসপাতালটি বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দিক নির্দেশনায় হাসপাতালে রোগিদের সেবা,আইটডোর সেবা,বহিঃবিভাগে শতভাগ ঔষধ প্রদান,রোগিদের জন্য উন্নত খাবার ও পরিচর্যা,হাসপাতালে চারিদিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সাজ-সজ্জার জন্য রাতে হাসপাতালে চারপাশে বিভিন্ন রংগের লাইটিং এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক নজরবন্দি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা, দুরের রোগি আনয়নের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান। তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসপাতালে থেকে নিজে রাত-দিন বিভিন্ন সময় রোগিরা সেবা পাচ্ছে কিনা,নার্স ও ডাক্তাররা ঠিকমত দায়িত্ব পালন করছে কিনা সেদিকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে আদিতমারী ৫০ শয্যা হাসপাতালে পুরো চিত্র পাল্টে দিয়ে একটি মডেল হাসপাতালে পরিনত করছেন।
প্রায় দেড় মাস যাবত এক্সটেনসিভ অভিযানে অমানুষিক ও বিরতিহীন পরিশ্রম মাধ্যমে অত্র হাসপাতালের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে আদিতমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো শ্রমিকরাও এখন আর শুধু মজুরির জন্য কাজ করছে না। তারা এখন নিজেদের এলাকার হাসপাতাল হিসেবে আপন মনে কাজ করছে। এমনকি কোথাও একটা প্লাস্টিক বা পলিথিন পড়ে থাকলেও তারা তুলে নিচ্ছে।
যে মুহূর্তে ক্লিনিকে সিজারের দিকে ঝুঁকছে সন্তান সম্ভবা মায়েরা, ঠিক সে সময় নিরাপদ প্রসব সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। পাশাপাশি কৈশোর বান্ধব সেবা ও নরমাল ডেলিভারী হওয়ায় বদলে গেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চিত্র। নিরাপদ প্রসবে নিয়মিত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে মায়েদের। এখানে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা প্রসূতি মায়েরা আসেন সন্তান প্রসবের জন্য। বিনা খরচে সন্তান প্রসব শেষে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যান।
এখানে ২৪ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারি করা হয়। যখনই প্রসূতি আসেন, তখনই সেবা দেওয়া হয়। অনেক সময় গভীর রাতেও ঘুম থেকে উঠে সন্তান প্রসব করাতে হয়।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর জরাজীর্ণ পুরাতন এম্বুলেন্সের পরিবর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এসি নতুন এম্বুলেন্স প্রদান করেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদ বলেন বর্তমানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যে পরিবেশ বিরাজ করছে এখনকার জনগন যদি আন্তরিক হয়ে এই হাসপাতালের সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজে এগিয়ে আসে তাহলে দেশের মধ্যে একটি রোল মডেল হাসপাতালে পরিচিত লাভ করবে।
Leave a Reply