মনের অজানা কষ্ট…………
সেদিন বিষন্ন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল, ঝাপসা হয়েছিলো দিনের আলো, চারিপাশ নিরেট প্রগাঢ় অন্ধকার। দক্ষিণা জানালার ও পারে হিম শীতল ঠান্ডা বাতাস।টিনের চালে ঝুম বৃষ্টি। মনের জড়তায় বাসা বেধেছিল শূন্যতা কোলাহল । সময় বয়েই চলেছিল।
ধূসর রাতের বুক চিরে ধেয়ে আসছে শূন্যতা।
বিষন্নতার অবগুণ্ঠনে মুখ ডাকা ফাকা রাস্তা, আমি শূন্য পথের শেষে দাঁড়িয়ে আছি একা, গভীর ভাবে মগ্ন বিষন্নতার শব্দে। হেটে চলা নববধূর পায়ের নুপুরের পায়ের ধ্বনিতে বেজে চলেছে বিষাদ। তখন সবে রাত বেড়েছে টিনের চালে ঝড়ে যাওয়া বৃষ্টির মতো ঝুমঝুমিয়ে বেজে চলেছে কান্না। রাত মিললেই হারিয়ে যাবে জীবনের সমস্ত অভিনয়, নিশ্চুপ অন্ধকারে বেড়িয়ে আসে আমার আমিটা, খরস্রোতা নদীর মতো আমার নিঃসঙ্গতায় ভাঙ্গতে ভাঙতে দৈনিক কোলাহলের ভির বেরোবার আগেই আবার নিজেকে গড়ে নেয়।
অসহায়তা অসহায়ত্ব আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি, দেখেছি বজ্রকন্ঠে বিস্ফোরণ নিশ্চুপ কান্নার যন্ত্রনা, দেখেছি সন্ধ্যাপ্রদীপের মতো জ্বলে ওঠা যন্রনা, মুখ ভর্তি অভিমান, বিষাদের সুর বেজে উঠেছিল ক্ষনে ক্ষনে, কেন যেন বলে যায় ভালোবাসি ভালোবাসি খুব গোপনে।
Leave a Reply