হুমায়ুন কবীর প্রিন্স স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
“মানবতার ফেরিওয়ালা”
“মাহমুদুল হাসান সোহাগ ”
সাধারন সময়েই যাদের জোটে না দু’ বেলা দু’ মুঠো খাবার আর এখনতো করোনা ভাইরাসের ছোবলে তাঁরা দিশেহারা। এসব দিশেহারা মানুষের মাঝে করোনার শুরুলগ্ন ধরে খাদ্য সামগ্রী চাল,ডাল,আলু,তৈল,আটা,সবজি,নগদ অর্থ বিতরণ করে যাচ্ছেন অনেকটা নীরব নিভৃতে। শুধু তাই নয় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় শ্রমীক নিয়ে যখন চিন্তিত কৃষকরা। তখনই কৃষকদের পাশে দাড়িয়ে এই ক্লান্তিকালে কৃষকের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে।
কখনো বা পান আবার মানুষের অসহায়ত্বের সন্ধান। কেউ হয় তো বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েও টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না, কেউবা আবার সন্তানের স্কুল – কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারছেন না। কেউ শীতের বাতাসে হাড় হিম হয়ে পরে থাকেন জড়সড় জর্জরিত হয়ে উদ্বাম্বর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন পথে প্রান্তরে। সেখানে দেখা গেছে সব সময় মাহমুদুল হাসান সোহাগ কে।
আর এসব মানুষের পাশেই সৃষ্টিকর্তার পাঠানো দূতের মতো সাহায্যে নিয়ে হাজির হন মাহমুদুল হাসান সোহাগ। অসহায় মানুষের গুলো হাতে তুলে দেন নগদ অর্থ।
এছাড়াও অনেকে আছেন,যাদের ছেলে- মেয়ের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে
সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছে না। তাদের ভর্তির ব্যবস্হা করেন তিনি। বন্যা কিংবা শীত অসহায়দের মাঝে খাবার এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
প্রতিদিনই তিনি হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের বিভিন্ন স্হানে ঘুরে ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে যাচ্ছেন তিনি।
অসহায় মানুষ গুলো পেট পুরে খাওয়ার পর তৃপ্তির যে হাসিটা দেয়,এটা আমার কাছে কোটি টাকার সম্বল।
তিনি গ্রামের অসহায় পরিবার গুলোকে দিয়েছেন বিনামূল্যে সোলার। যাদের সোলার কেনার মতো নেই সামর্থ্য সোলারের আলোয় আলোকিত হচ্ছে তাদের বাচ্চার লেখা পড়া।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন আমার এই পরিশ্রম স্বার্থক হয় তখন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের চাল- ডাল পাওয়ার পর তাদের হাসিমাখা মুখটা দেখার আনন্দটা নিজের চোখে না দেখলে বোঝানো যাবে না।
মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাই শুভ কামনা
Leave a Reply