স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রপডাউন ব্যাবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সেই নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধাান শিক্ষক সুরাইয়া বেগমের বিরুদ্ধে। আর তাই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তাকে লিখিত ভাবে শোকজ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ও অফিস সুত্রে জানাগেছে এর আগেও ওই বিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ছেড়া পতাকা উত্তলোন করে পতাকা অবমাননা করেন ওই প্রধান শিক্ষক।সুরাইয়া বেগম হাতীবান্ধা উপজেলার বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ড্রপডাউন ব্যানার ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্যানার বানানোর জন্য সরকাারীভাবে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম সেই নির্দেশনা অমান্য করে। আর তাই স্থানীয়রা উপজেলা শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি অবগত করেন। শিক্ষা অফিস ঘটনার সত্যতা পেয়ে গত ০৮আগস্ট ওই শিক্ষককে শোকজ করেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয়রা জানান, প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগমের ব্যবহার খুব খারাপ। তিনি ঠিকমত বিদ্যালয় পরিচালনা করেন না। এছাড়া তিনি একের পর এক নক্কার জনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা তার শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক রনিউল ইসলাম রিপন বলেন, ওই শিক্ষকের কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা তার বিচার চাই।এ বিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড হাতীবান্ধা উপজেলা আহবায়ক রোকনুজ্জামান সোহেল বলেন, এটা একটি ন্যাক্কার জনক ঘটনা। এই প্রধান শিক্ষক এর আগের পতাকা অবমাননা করেছিলেন কিন্তু অদৃশ্য কারণে তার বিচার হয় নাই। এবার যেন কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা করছি। যোগাযোগ করে জানতে চাইলে বালাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া বেগম বলেন, শোকজের কাগজ পেয়েছি এবং জবাবও দিয়েছি।এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলাল হোসেন বলেন, ড্রপডাউন ব্যানার ব্যাবহারের নির্দেশনা অমান্য করায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
Leave a Reply