হুমায়ুন কবীর প্রিন্স , লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ২৩ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফজর আলীকে (৬৫) কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থেকে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ।
ফজর আলী (৬৫) আদিতমারী উপজেলার দক্ষিণ গোবদা এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
আদিতমারী থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৮ জুলাই আত্মহত্যা করেন ফজর আলীর স্ত্রী। সেখানে গিয়ে তৎকালিন এ এস আই’র সন্দেহ হওয়ায় ঘটনার উপর তদন্তের জন্য আবেদন করেন তিনি। তদন্তে
পুলিশের অভিযোগপত্রের উপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি ফজর আলী (৬৫) তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে সাক্ষ্য-প্রমান পেয়ে আসামির অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঘটনা তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই আসামি ফজর আলী (৬৫) ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে ধরা পড়ার আগেই আবারও পালিয়ে আসেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী এলাকায়।
সেখানেই বিয়ে করে দীর্ঘ ২৩ বছর আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। এরপর সম্প্রতি আদিতমারী থানার এএসআই আতাউল গনি বৃদ্ধ ফজর আলীকে (৬৫) শনাক্ত করেন।
শনাক্তের পর লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা ঘটনার বিস্তারিত জেনে আসামি ফজর আলীকে (৬৫) ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।
গত রোববার (২০ জুন) মধ্যরাতে আদিতমারী থানার এএসআই ও তার টিম এবং কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ গোপনীয়তার মাধ্যমে আসামি ফজর আলীকে (৬৫) গ্রেফতার করেন। এসময় ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আদিতমারী থানা পুলিশের টিমকে সহযোগিতা করেন।
২৩ বছর যাবৎ আত্নগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বৃদ্ধ ফজর আলীকে (৬৫) গ্রেফতারের পর আদিতমারী থানায় নিয়ে আসেন লালমনিরহাট পুলিশ।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আসামি ফজর আলীকে (৬৫) গ্রেফতারের পর আদিতমারী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে, আগামীকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
Leave a Reply